Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের আলাউদ্দিন তালুকদার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
    • কলেজ গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা ও কতিপয় সুপারিশ
    • নিজ চোখে গুটেনবার্গ বাইবেল দেখা
    • লাইব্রেরিয়ান ভয়েস – গোলাম মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের শুভ উদ্বোধন
    • জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে তথ্যের গুরুত্ব ও নৈতিক ব্যবহার
    • পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাইক্লিং
    • ল্যাবের ১৪তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    • লাইব্রেরিয়ান ভয়েস, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর সংখ্যা, ২০২২, বর্ষ-৫, সংখ্যা-০৬
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest RSS
    The Librarian Voice
    Librarian Voice Global Edition (English)
    • হোম পেজ
    • আগের সংখ্যা
    • ব্লগ পোস্ট
    • ভয়েস সংবাদ
      • আন্তর্জাতিক সম্মেলন
      • আপনি জানেন কি?
      • স্মৃতিতে অম্লান
    • বুক রিভিউ
    • নতুন যোগদান
      • পদোন্নতি
    • ভয়েস বিচিত্রা
    • সম্পাদনা পর্ষদ
    The Librarian Voice
    You are at:Home»Blog Post»নিজ চোখে গুটেনবার্গ বাইবেল দেখা

    নিজ চোখে গুটেনবার্গ বাইবেল দেখা

    0
    By Librarian Voice ISSN No: 2710-0103 on December 1, 2022 Blog Post

    “গুটেনবার্গ বাইবেল” পৃথিবীতে অদ্ভুতভাবে ছাপা হওয়া এক বাইবেল; যার কোন দাম নির্ধারণ সম্ভব নয়। এগুলো মহামূল্যবান। গুটেনবার্গের পুরো নাম জোহানেস গেন্সফ্লেইশ জ্যর ল্যাডেন জুম গুটেনবার্গ। ইয়োহানেস গুটেনবের্গ (Johannes Gutenberg)। তিনি জার্মানির মাইন্ৎস শহরে ১৩৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৩৯৮ সালে (আনুমানিক) সর্বপ্রথম এই বাইবেল মুদ্রাক্ষরে ছাপান। পেশায় তিনি ছিলেন একজন জার্মান কামার, কিন্তু তিনি খ্যাতি পান অদ্ভুত ছাপার কৌশল, কালি, দক্ষতার উদ্ভব ঘটিয়ে। কে, কিভাবে, কখন, কি এবং কেন?

    ইতিহাস থেকে জানা যায় গুটেনবার্গ- এর জীবন ছিল রহস্যময়। ধাতু সম্পর্কে তার ধারনা ছিল অসাধারন। তিনি ছাপার পদ্ধতি উদ্ভব করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধার করে কবিতা ছাপিয়ে কিছু গ্রাহককে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন সময় তখন ১৪৩৯-১৪৫০ সালের মধ্যে। তিনি কবে বাইবেলেরকাজ শুরু করেন সেটি জানা যায় না তবে সেটা সম্ভবত ১৪৫০ সালের পরেই।

    “গুটেনবার্গ বাইবেল” সাধারনত ৪২ লাইন বাইবেল বা মারজারিন বাইবেল বা বি৪২ নামে পরিচিত যা ল্যাটিন ভাষায় রচিত। এটি ৪২ লাইনের বাইবেল অবশ্যই। গুটেনবার্গ ঠিক কতটি বাইবেল ছাপিয়েছিলেন সেটা সঠিক না জানা গেলেও ধারনা করা হয় ১৮০ টি যার মাত্র ৪৯ টির অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং এর মধ্যে ২১ সম্পূর্ণ। এগুলো অনেক নিরাপত্তার বেষ্টনীর ভেতর রাখা হয়েছে। কেন এরকম হয়েছে সেটার কারণ একটু পরেই আসছে। গুটেনবার্গ প্রথম ১৪৫৪-১৪৫৫ সালে প্রথম বাইবেল প্রকাশ করেন। যেটি ছাপাতে প্রায় ৩-৫ বছর লেগেছিল, এবং সবগুগুলোর কাজই এভাবে সম্পূর্ণহাতে এত সময় ধরে তৈরি করা হয়েছিল। এর অদ্ভুত বিষয়টি হল ছাপার কালি এবং ছাপার ধরন। এর কালিটি হল ধাতব যাতে প্রাথমিকভাবে কার্বন থাকলেও এতে দেয়া হয় কপার, লেড ও টাইটেনিয়াম। ড. ক্রিস্টেনের মতে, এটি এক ধরনের ধাতব বার্নিশ। এর উপর কোন কলম দিয়ে লেখাতো দূরের কথা বরং সেটি পিছলে বেরিয়ে যায়।

    ছাপার এই পদ্ধতির নাম “Moveable Printing” যার কারণে এটি বিখ্যাত। একটি লোহার ম্যাট্রিক্স ব্যবহারকরা হত যার সাথে একটি চৌকো নল যুক্ত থাকত। এর মধ্যে গলিত ধাতু ঢেলে অক্ষরের ছাঁচ বানানো হত এবং এগুলো অস্বাভাবিক ছোট এবং নিখুঁত ছিল। ছোট ও বড় হাতের অক্ষরেরজন্য ২৯০ টির সেট প্রয়োজন হত। প্রত্যেক পাতার জন্য ছাঁচগুলোকে সাজানো হত। এর মাধ্যমে ধাতব কালি ব্যবহার করে হাতে ছাপান হত। প্রথমবারে ধাতু ব্যবহার করে অক্ষরের আকৃতি তৈরি করে বারবার একই কাজ করা হত বলে, একটি পাতা শেষ করতে একদিন লেগে যেত। আর এর মধ্যে যে নকশা তৈরি করা হয়েছে, এ পর্যন্ত আর কোন বাইবেলে সেটি নেই। এরকম নিখুঁত বাইবেল কোনদিন আর ছাপানো সম্ভব হয়নি। ১৪৬৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।

    এই বাইবেল খুঁজে না পাওয়ার কারণ হল এর দাম। একেকটি সম্পূর্ণ বাইবেলের দাম ৩৫ মিলিয়ন ডলার বা ২৭৬১৫০০০০০/- টাকা। একেকটি পাতার দাম ২০০০০-১০০০০০/- ডলার যা নির্ভর করে এর অবস্থার উপর। তাই হারানো কপিগুলো এখনো খোঁজা হচ্ছে এবং যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো যাতে খোয়া না যায় তাই নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভেতর রাখা হয়। ছবিতে যে গুটেনবার্গ বাইবেলটি দেখছেন তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত পৃথিবী বিখ্যাত লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে সংরক্ষিত।


    কনক মনিরুল ইসলাম
    সদস্য, সম্পাদনা পর্ষদ
    লাইব্রেরিয়ান ভয়েস
    কনক মনিরুল ইসলাম
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Librarian Voice ISSN No: 2710-0103

    Related Posts

    কলেজ গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা ও কতিপয় সুপারিশ

    লাইব্রেরিয়ান ভয়েস – গোলাম মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের শুভ উদ্বোধন

    জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে তথ্যের গুরুত্ব ও নৈতিক ব্যবহার

    Leave A Reply Cancel Reply

    লাইব্রেরিয়ান ভয়েসে লিখেছেন
    Scholarship and Degree (1) অন্তরা আনোয়ার (7) আকতারুল ইসলাম (2) আনিকা তাবাচ্ছুম (7) আনিকা বুশরা মারিয়া (1) আবিদ হাসান (1) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (10) আরিফুল ইসলাম (1) আরেফিন আলভী (4) আশিক রায়হান (1) আসিফ মাহতাব পাভেল (2) ইশরাত মুনীয়া (4) এস এম সাব্বির আকন্দ (2) কনক মনিরুল ইসলাম (2) জান্নাতুল আরা লিজা (1) ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল (1) ড. মো:রফিকুল ইসলাম (5) ড. মোহাঃ আজিজুর রহমান (1) তাপস রায় (1) তাসনীন মিতা (2) তৃপ্তি সাহা (2) পদ্ম রাগমনি বাগচী (1) প্রফেসর ড. মুহম্মদ আবদুস সাত্তার (2) বাবুল আখতার (1) বিপ্লব রায় (1) ভয়েস ডেস্ক (26) মনজুরুল হক (2) মাহবুব হাসান (1) মাহাবুবা আক্তার (2) মোঃ   ঈদ-ঈ- আমিন (3) মোঃ আহসান হাবীব (1) মোঃ মনিরুল ইসলাম (5) মোঃ রাশেদ নিজামী (1) মোঃ সেলিম রেজা বাপ্পী (2) শাহ রিয়াদ আনোয়ার শুভ (1) শেখ আল- আমিন (3) সমীর কুমার মন্ডল (1) সাজ্জাদুল করিম (3) সামসুন নাহার (6) সুপ্রিয় পাল (1) সোহানা হোসেন নিশি (1)
    Copyright © 2023 Librarian Voice.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.