রাশেদ নিজামী
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমসাময়িক চিন্তাভাবনা ও মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা বইমেলা ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়। ২৮ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ভবন ৪ এর নিচতলায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বইমেলা চলে। মেলাটি সকল পাঠক, প্রকাশক ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রেস যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর এ এম এম হামিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডঃ মোঃ মিলন খান, গ্রন্থাগারিক ও নেছার উদ্দিন আইয়ুব, পরিচালক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ।
মেলার উদ্বোধনকালে উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এম লুৎফর রহমান বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসে বই পড়ার চেয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো অনেক বেশি আনন্দের। এই মেলা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রাণের মেলা। তিনি বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নতি হলেই একটি জাতি উন্নতি করতে পারে। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও অর্জনে সকল কবি, সাহিত্যিক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিপ্রেমীদের অবদান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে যত বেশি আকৃষ্ট করতে পারব, তরুণ প্রজন্মকে ততই মাদক থেকে দূরে রাখতে পারব। একই সঙ্গে তাদের যথাযথ মেধার বিকাশও ঘটবে।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ডঃ মোহাম্মদ নাদির বিন আলী।