শোনো শোনো সুধীজন, শোনো দিয়া মন। গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পঞ্চসূত্র করিব বর্ণন।। আলোচ্য পঞ্চসূত্র ডক্টর রঙ্গনাথন কৃত। নিজগুণে ইহা আজ বিশ্বে সমাদৃত।।
প্রথম সূত্র ঘোষিল-‘গ্রন্থ ব্যবহারের জন্য’। ব্যবহার বিনা গ্রন্থের মূল্য নেই অন্য।। গ্রন্থ মানে জ্ঞানের আকর, তথ্যের সমাহার। সার্থক রূপে গ্রন্থ সকল হোক ব্যবহার।।
‘প্রত্যেক পাঠকেরই আছে উপযুক্ত গ্রন্থ’। দ্বিতীয় সূত্র গ্রন্থাগারিককে দিল এই মন্ত্র।। পাঠক, সে যেমনই হোক, হয়ো না নিরাশ। যথাযথ গ্রন্থ পাবেই, এই সূত্রের আশ্বাস।।
‘প্রত্যেক গ্রন্থেরই আছে উপযুক্ত পাঠক’। রেখোনা কোন গ্রন্থকে সিন্দুকে করে আটক।। গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের তৃতীয় সূত্র এই কথাই বলে। গ্রন্থ পাঠকের মেলবন্ধনেই গ্রন্থাগার চলে।।
|
পাঠকের সময় সাশ্রয় গ্রন্থাগারিকের কাজ। সময় ব্যবস্থাপনায় চাই বিশেষ রকম সাজ।। চতুর্থ সূত্রটির এই হল সমামর্ম।। পাঠকের সন্তুষ্টি সাধনই গ্রন্থাগারিকের ধর্ম।।
গ্রন্থাগার যেন এক জৈব সত্তা, ক্রমবর্ধনশীল। ধারে-ভারে বাড়িবে তা, মনে রেখো সুশীল।। পঞ্চম সূত্রের এই কথা করিও চিন্তন। গ্রন্থাগারের পরিকাঠামো তদ্রুপ করিও গঠন।।
গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের পঞ্চসূত্র সদ্য বাখিও স্মরণ। গ্রন্থাগার এর সার্থকতায় ইহা আনিবে ত্বরণ।। গ্রন্থ ব্যবহার, সংরক্ষণ আর গ্রন্থাগারের পরিবেশ। পাঠক পরিষেবায় পঞ্চসূত্র করে পথনির্দেশ।।
অতঃপর পঞ্চসূত্র বর্ণন হইল সমাপন। গ্রন্থাগারিকের কর্মপন্থা হইল নিরূপন।। জয়ধ্বনি দাও সকলের পঞ্চসূত্রের জয়। পাঠক পরিষেবায় গ্রন্থাগারিক যেন সদা জয়ী হয়।। বিপ্লব রায়,
|